ছোট্ট ছেলেটির মন খারাপ। খুব বেশিই খারাপ। পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তরে সে শূন্য পেয়েছে।
প্রশ্নটি ছিলো এরকম, ‘ব্যারোমিটারের সাহায্যে একটি ভবনের উচ্চতা কীভাবে মাপা সম্ভব?’ উত্তরটি তার জানা ছিল না। তাই বলে তো আর প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবে না। মা বারবার বলে দিয়েছে ‘ফুল অ্যান্সার’ করে আসার জন্য। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সে লিখেছিল, ‘দড়ি বেঁধে ভবনের ছাদ থেকে ব্যারোমিটারটি নিচে ফেলে দিতে হবে। তাহলে ঐ দড়ির দৈর্ঘ্যই হবে ভবনের উচ্চতা’।
শিক্ষক ঊত্তর দেখে খুশি তো হনইনি, বরং ভেবেছেন ছেলেটি দুষ্টমি করে উত্তরটি লিখেছে। তাই তাকে ডেকে খাতাটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘ধরে নিলাম উত্তরটা তুমি জান, দ্বিতীয়বার তোমায় সুযোগ দিচ্ছি, চটপট উত্তরটা লিখে ফেল।’ ছেলেটি ভাবল, ‘এবার আর ভুল করা যাবে না।’ তাই এবার সে লিখল, ‘আমি ভবনের উপর থেকে নেমে এসে ভবনের অ্যাটেনডেন্টকে বলব, ভবনের প্রকৃত উচ্চতাটি বললে আমি তোমাকে এই ব্যারোমিটারটি উপহার দেব। তখন সে বলে দেবে আর আমি জেনে নেব।’
এবার হয়েছে,এবার নম্বর না দিয়ে শিক্ষক যাবেন কোথায়? এই ভেবে মনে মনে এক চোট হেসে নিলো ছেলেটি।
কিন্তু তার উত্তর দেখে এবার আর শিক্ষকও ভুল করলেন না। দিয়ে দিলেন পুরো শূন্য (0)!
পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নে ভুল করলেও পরবর্তীতে সেই ছেলেটিই হয়ে ওঠে, ‘বোর পরমাণু মডেলের’ জনক প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী নীলস বোর।